চন্দ্রা অস্তাচলে
ডাঃ শ্যামল বৈদ্য
বৈশাখী দাবদাহে খরতাপি তনু,
মাগিছে দখিনা বাতাস আসুক ঝোরো বেগে।
বর্ষা নামুক অঝোরধারায় সাঁঝে,
তুমি কী সিক্ত হবে আজ বসন ভেজা লাজে?
এনেছি আজ অতি যতন করে,
করপল্লব পুটে কুসুমে সুরভীত বরণ মালা।
আকূল হিয়ায় দহন-জ্বালা মোর,
দেবে কী দগ্ধ তনুতে এখনও মরণ জ্বালা?
বদ্ধ ঘরে বাতায়নে আছি বসে,
বিরহী বেদনে কেঁদে কেঁদে নিত্য জাগি রাত।
চন্দনচর্চিতা চন্দ্রা তুমি প্রিয়ে,
তোমার ছোঁয়া লাগেনি আসেনি সুপ্রভাত?
চোখের জলে বন্যা যখন নামে,
খড়কুটোর মতো ভাসি বিরহী বানের জলে।
অঙ্গন মোর আঁধার ঢাকা থাকে ,
বিজন রাতে তন্দ্রাতে দেখি চন্দ্রা অস্তাচলে!
ভূমে জানি পড়বে লুটে মাথা,
বিষকুসুম রক্ত নীলে মরছি মাথা কুটে?
প্রতিক্ষণে এই প্রতিক্ষার জ্বালা,
সাঁঝের বেলা চন্দ্রা তুমি উঠবে কী ফুটে?