নাটোর নিউজ বড়াইগ্রাম : করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভা গত ২৩ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন।আজ শুক্রবার লকডাউনের মধ্যেই মৌখাড়া বাজারে বসেছে হাট।যে হাটে বিভিন্ন জায়গায় থেকে হাজার হাজার মানুষের ছিলো গনজামায়েত।স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে ছিলো উপেক্ষিত।
বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম থেকে আসা পশু বেচাকেনার জন্য এসব হাটে হাজারো মানুষ জড়ো হওয়ায় ভাইরাস সংক্রমণের মতো ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। সপ্তাহে প্রতি শুক্রবারে এখানে হাট বসে। হাটে পশুর পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়সহ ধুলা-ময়লার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে বেচাকেনা। হাঁচি-কাশি, থুতু ফেলা, হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরাসহ বন্ধ নেই সংস্পর্শে আসার কোনো কিছুই। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, ঝুঁকি জেনেও জীবিকার তাগিদেই তারা বাজারে এসেছেন।
বড়াইগ্রাম পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফজের আলি বলেন-সাধারন জনগন লকডাউনের পক্ষে না।শত বুঝিয়েও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হাট পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন।স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তিনজনকে ৪শ টাকা জরিমানা করেন। তবে সচেতন মহল মনে করছেন হাটের প্রবেশদ্বারে লোক বসিয়ে শতভাগ মাস্ক নিশ্চিত এবং ভেতরে মনিটরিং করে সামাজিক দুরুত্ব মানতে বাধ্য করা যেতেই পারে।