কেটলি চায়ের কাপ জব্দ না করে ৭ দিনের খাবার দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেন
দেবব্রত সুবীর
লক ডাউন উপলক্ষে ব্যপক এাণ কার্যক্রম চালু করা জরুরী , গরীব মনুষ খুব বেশি সময় ভয় পাবে না, খিদা অস্বীকার করবে কত সময়, বাস্তবতা অনুধাবন জরুরী। গত বছর গভীর রাতে পুলিশ মাইকিং করছে ডাকাত ঘুরছে, সবাই জেগে উঠেন, বলতে তখন তাদের লজ্জা করেনি, এবার যদি বেশি সময় লক ডাউন চালিয়ে যেতে হয় তাহলে গরীব মানুষের জন্য সহায়তার হাত সম্প্রসারিত হোক। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন জরুরী।
কতিপয় অতি উৎসাহী প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কাজ করার ব্যপারে, করোনায় মরলে কার কি ছিড়বে।
একটা হুমকির রাজ্য কায়েম করতে চায়। সবার পরিবার আছে, বেতনের কাছে জিম্মি করে কাজ করানো এক ধরনের নস্ট মানসিকতা। অশিক্ষায় দেশটা শেষ। সেবা এবং কাজ সমানুপাতিক। সকালে বাজারগামী তরকারীর ভ্যান রিক্সা ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ, কতিপয় চা দোকানের কেটলি চায়ের কাপ জব্দ করে এনে পুলিশ ছবি দিচ্ছে, বাহ কি মনসিকতা, ৭ দিনের খাবার দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেন।
জরুরী সেবা কি? শুদ্ধাচার কি ভাবে হয়, সহনশীল আচরন কি? এগুলো জানা জরুরী। মানবিক সরকার ব্যবস্থা খুবই জরুরী।
সংক্রম বাড়ছে সবাই সাবধান হবেন। চোখ রাঙানি দিয়ে উন্নত মানসিকতা পরিচয় দেওয়া যায় না। ইউম্যান ইথোলজি আমরা বুঝি, ছটফটানি কিসের তাও বুঝি। আচরনে সুন্দর হওয়া জরুরী, কোন রকম বল প্রয়োগ করবেন না, মনে রাখতে হবে যে বেতন ভুক্ত যারাই আছেন তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী, জনগন রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি।
এই কথা গুলো সবাই জানে তাহলে লিখতে হবে কেন? বাহিনীর লোকজন জনগনের গায়ে হাত তুলছে সে গুলো প্রচার করে ভয় জরি রাখছে। তারা আর একজন মানুষের গায়েও হাত তুলবে না। সরকার ১০০% চিকিৎসা দেয় না, তাই খবরদারীর ও লিমিট থাকা উচিৎ। মানুষ গুলো মার খেয়ে ছোট হয়ে যাচ্ছে, আর আপনাদের মনে প্রাণে ঘৃণা করছে।
করোনায় যাদের গ্রেট লস হচ্ছে তারাই শুধুমাত্র বুঝতে পারছে হাহাকার কাকে বলে, জীবন থেকে কী হারালাম। অক্সিজেন, আই সি ইউ, নিয়ে খুব দৌড়া দৌড়ি করে একবার জিতে গেছি, সত্য। কিন্তুু যে নগ্ন রুপ দেখলাম তা হয়তো জীবনে কেউ দ্বিতীয় বার দেখতে চায় না। জীবাণু যুদ্ধের খেলোয়াড় দের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা।