ফাঁদ
দেবব্রত সুবীর
জীবন কে ঝুলিয়ে দাও
ঋণের ফাঁদে,
আমরা ঋণ নেই
ঋণ দেই।
একটার পর একটা
ফাঁদ পেতে পেতে,
অবশেষ এ বন্দি হলাম।
ঋণের দায়ে
চাঁদপুরের কলেজ শিক্ষক
বাতেন
ঝুলে গেল দড়িতে,
মুক্তি পেল।
তোমাদের তিক্ষ ক্রুরো
মুখের যন্ত্রনা থেকে,
দুরে বহু দূরে।
তার ছোট্ট মেয়েটি
নির্মম পৃথিবীর পিতাকে
আর আলিম্গন করলো না।
জীবন আমাদের ঝুলে আছে।
ফাঁদের পর ফাঁদ পেতে,
মহাজন দড়ি হাতে বোসে আছে।
এই সব ঋণ আমাদের
কখোনই আর শেষ হয় না।
ঘোরের মধ্য ছুটে আসে
তির্যক স্বর চতুর কন্ঠ।
রাষ্ট্র যন্ত্র আর একা পেড়ে উঠলো না।
তারা অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে
দাসত্বের চতুর জাল বিছিয়ে দিলো,
জীবনের পথে পথে।
রক্ত মাখা ক্ষুধা
আর জ্বালাময়ী নিপিড়নে,
মানুষ গুলো বোবা হয়ে গেল।
পিতা আর কথা বলছে না,
না ভগ্নি
না মাতা
কেউ আর কথা বলছে না।
ক্ষুধার ফাঁদে বন্দি হতে হতে
ঝুলে যাচ্ছে বিবেক,
ঝুলে যাচ্ছে নিয়ম,
ঝুলে যাচ্ছে স্বপ্ন দেখার সুন্দর মন।
চোখ আর বেশিদূর দেখে না।
মোটরসাইকেল এর শব্দ
ইনস্টলম্যান্ট ম্যনের আগমন
একরাশ হতাশা ছড়ায় ভাতের হাড়িতে।
স্বাধীনতা খুজে না মন,
আর জীবন এখানে
চতুরতা র রঙ্গ মেলা নিয়ে,
উনাদের মনোরন্জনের ভাঁড়
হয়ে নেচে যাচ্ছে।
চাঁদের জ্যোৎস্না আর আগের মতো আলো ছড়ায় না।
শিশুর কান্নার মাঝে ডুব দিয়ে,
শান্তির পাথর খুজে পাওয়া যায় না।
এই অন্ধকারের বন্দিত্ব
মুক্তি কোথায়?
কি তার পরিএানের উপায়।
আমাদের পথ দীর্ঘতর হচ্ছে,
মুহুর্ত গুলো ঝুলে যাচ্ছে,
একটার পর একটা
ঝুলেথাকা সম্পর্ক
মনের মধ্য বোঝা বাড়াচ্ছে।
দীর্ঘ অন্ধকারের পথে হাঁটতে হাঁটতে
আমরা কৃষ্ণ গহ্বভর পার হয়ে এসেছি।
ব্যর্থ শৃঙ্খল তার প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে
আমাদের বন্দি করেছে।
এতো কিছুর ভেতর দিয়ে,
যেতে যেতে মানুষ এখন ক্লান্ত বিদ্ধস্ত।
গরম ভাতের গন্ধ
অবুঝ সন্তানের নির্মল হাসি
প্রিয়তমার চোখের ঝিলিক
সকালের নতুন সূর্য
আমাদের বাঁচার আশা যোগায়।
হেঁটে যায় নিরন্তর পৃথিবীর পথে,
আর জীবন এখানে
সুখের কাল্পনিক বৃত্তের ভেতরে,
ঝুলে থাকে ঋণের ফাঁদে।।
৩০/০৬/২০২১
চাঁদপুর