প্রেমিকের হৃদয়েও চোরাবালির মতো ফাটল থাকে
বেনজির শিকদার
ভালোবাসার কাজে হাত দিয়েছিলাম
চলছিল, তড়িৎ হাতে, লঘু ছন্দে, বেশ!
কোনো বিশৃঙ্খলায় যেতে চাইনি
রোদে পোড়ার গল্প শুনে,
দুপুরকে তাই সজ্জা দিয়েছিলাম বুকের ভেতর!
মায়াবী বিকেলটা বলেছিল খুব
খেয়াল রেখো, উল্টো কথা নয়
সোনার হরিণ কারো গোয়ালে বাঁধা থাকে না।
কৃষ্ণচূড়ার লাল আর বুড়ো বাড়িটার দিকে তাকিয়ে বলেছিল
টগবগ ফুটছে অথচ রোদ্দুর কেমন বিরস!
কান দিইনি, সলজ্জ ভঙ্গিমায় আবিষ্কার করেছিলাম
প্রসবের ন্যায় অপেক্ষারত জরায়ুর রূপ।
কতশত ফুল! কত তার বর্ণ-আতর!
সুন্দরের উজ্জ্বলতায় যে রূপ চোখের পীড়া হয়ে ধরা দেয়।
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে রূপের ঝলকানি বুকের গভীরে বেঁধে।
বিকলাঙ্গ শিশুর মতো সময় গড়াতে নয়,
নয় কোনো আত্মা জমা দেওয়ার লোমহর্ষক খেলা
প্রেমের স্বাধীনতায় কুড়ানো পলি আর রোপিত বীজ
ভালোবাসায়-মায়ায় বিনিদ্রতার চুম্বন এঁকে, অনুমেয়
দু’টো পুষ্পের নব মিলনে নিমজ্জিত প্রিয়তম মর্মহৃদয়।
ভাবিনি প্রেমিকের হৃদয়েও চোরাবালির মতো ফাটল থাকে
থাকে ক্যাসানোভা চরিত্র আর নাইটিঙ্গেল চোখে ধুতরার বিষ!
রাতের পর রাত প্রখর অমাবস্যায় জেগে যে বিষ অসুখ বাড়ায়,
কালো ধোঁয়ার মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে পোড়ে সময়,
পোড়ে গোটা মহাকাল!
অতঃপর অসুখে অসুখে বন্ধ হয় অন্ধ হৃদয়।
[]প্রেমিকের হৃদয়েও চোরাবালির মতো ফাটল থাকে[]
বেনজির শিকদার