রাতের রজনীগন্ধা
মেরিন নাজনীন
রাতের রানী হতে গেলে রাতের রাজা লাগে একা একা কেঊ রানী হয়ে উঠে না। পৃথিবীতে আমার দেখা কোন রকম প্লাস্টিক সার্জারি ছাড়া এমন নিখুঁত সুন্দরী এই প্রথম দেখা। বেশ্যা পরীর কাছে কারা যান সেই বেশ্যাবাজ পাখীদের ছবি আর নাম প্রকাশ্যে চাই। পরীর জন্মদিনে যেই যেই আম্মাজান আপাজানরা চুমু খেতে খেতে ছবি তুলে নিজেদের জাতে তুলেছেন তারা আজ কোথায় কি বলছেন খুজলে পরীর মতো হাজারো মদের বোতল তাদের অতীত ও বর্তমানে পাওয়া যাবে।
কুকুর কুকুরের মাংস খায়না কিন্তু আজ শিল্পী সমাজ নিজেরাই নিজেদের মাংস খেতে ব্যাস্ত। পরীকে ভারতে পাঠিয়ে দিয়ে দেখুন সেও জয়া আ্হসান হয়েই ফিরবে। ২৪ ছবির ২২ টাই ফ্লপ যারা বলছেন তারা শুনুন
শুধু নায়িকার উপর সিনেমার ব্যাবসায়িক সাফল্য নির্ভর করেনা, সেখানে আরো কিছু লাগে যা এদেশের বেশির ভাগ গোলাপি লিপস্টিক দেয়া নায়ক বা নির্মাতারা(সবাই না) কি করে বুঝবেন।
এদেশের শিল্পী সমাজ কখোনও কোন শিল্পীকে তৈরী করেছেন বা বিপদে কোন শিল্পীর পাশে ছিলো বলে আমার মনে পরেনা।যা করেছে প্রত্যেক শিল্পীর সুখী সময়ে পাশে থেকেছেন হাসি মুখে। বলতে পারবেন আমার দেশের এমন কোন ইন্সটিটিউট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যেখানে কোন উঠতি শিল্পীকে সমাজে টিকে থাকতে কিভাবে চলতে হবে তার গ্রুমিং করানো হয়।
পরী মদ খায়, মদ কিনতে পারে, বিভিন্ন সময় তার বাসায় পার্টি হয় তো মদ খাওয়ার পারমিশন পরীকে কেনইবা নারকোটিক্স বা রাষ্ট্র দিলো, আর তার বাসায় যারা যায় তাদের তো আর টেনে হিচরে আমাদের নষ্ট পরী নিয়ে যায়নি তো সে চাঁদ বদন দের এক্টু দেখান।তাদের ছবি প্রকাশ করেন আমি চোখ বন্ধ করে বলতে পারি যেই যেই মদের বোতল গুলো উদ্ধার হয়েছে, ইতোমধ্যে সেগুলো ভাগাভাগি করে দেখেন আবার আমাদের ভদ্রলোক ভাইরা পার্টি করছেন। কই দেখলাম না তো একটাও বোতল ভাংগা বা ধবংস করা হয়েছে।
আপনারা নষ্ট মন নিয়ে লোকের নষ্টামী দেখেন, বিভিন্ন গেজেটে পর্ণো দেখেন লুকিয়ে মনের আর চোখের জ্বালা নেভান অথচ সেই পর্ণো তারকাকে ঘৃণা করেন। নিজের পাপ পূন্য আগে মাপেন দেখেন। নামাজ পড়ে এসেই অন্যের বুকের কাপড় ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা মাপেন। কে কি পরলো সেটা দেখেন অথচ নিজের বুকের ওড়নাই কোনদিন আপনাদের ঠিক থাকেনা।
একটা সমাজে শুধু আপনি আমি আমারাই সব না । সে, তুমি তারা তাদের বলে একটা কথা বা পৃথিবী রয়েছে।
পরীর সাথে ডার্টি পিকচার সিনেমায় বিদ্যাবালান অভিনীত নায়িকা সিল্ক এর জীবনের গল্প খুঁজে পাচ্ছি।
সাকলায়েনের সাথে গ্যাংস্টার সিনেমার ইমরান হাশ্মীর মিল পাই পরীর বিচার করবেন মুসলিম দেশ বেশ ভালো কথা তো আপনাদের জ্বীন ভুতদের কেন ধরছেন না। যে দেশে পরী আছে তাকে তো মাথায় তুলে রাখার কথা, তাকে যত্ন দিয়ে, আদর দিয়ে লালন করার কথা। তার বাবা নেই মা নেই সে একটু আদর চেয়েছিলো আপনাদের সমাজে ভালোবেশে কতো সম্বোধন এই তার প্রতিদান এ দেশ আগামী ৪০ বছর শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা থেকে পিছিয়ে গেলো এখানে কোন লেখক আর লিখবেনা কোন সাংবাদিক তার কলম চালাবেনা। আইনের চোখ আর কালো কাপড়ে ঢাকা থাকবেনা।
সুন্দর হওয়ায়টা যতটা আনন্দ গৌরবের ততোটাই ভয়ংকর, সুন্দর হয়ে এই সমাজে বেঁচে থাকা।
লেখনীতে
শ্রীমতী মেরিন সাহেব