নাটোর নিউজ: নাটোর সদর উপজেলার উপজেলা তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬ নং ওয়ার্ড ও সকল সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই ছবি ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগেরই তিন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের মাস্তান মোড়ে। এ ঘটনায় ওই তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।১২ আগষ্ট(বৃহস্পতিবার)সন্ধ্যায় উপজেলার মাস্তান মোড়ে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দীন ওরফে মিলন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং পুলিশের কাছে সেখানকার দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ আসবাব ভাঙচুরের অভিযোগ করেন। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষদের দায়ী করেন তিনি।তবে অভিযুক্ত রিপন আলী, আল আমিন, ভুট্টো আলী অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, তাঁরা ঘটনাস্থলেই যাননি। সিহাব উদ্দিন তাঁদের বিরুদ্ধে পূর্ব–আক্রোশের বশে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে তাঁরা দাবি করেন। ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেন তাঁরা।এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।সংঘাত প্রতিহত করার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে প্রকৃত ঘটনা তদন্তে পুলিশ সুপারের নির্দেশে নাটোর থানার পুলিশ মাঠে নামে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা প্রতিপক্ষের লোকজনকে হয়রানি করার জন্য নিজেরাই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।
পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাতেই অভিযোগকারী তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দীন (৩৫), বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নাটোর জেলা শাখার সহসভাপতি বাশারতুল্লাহ বাশার (৩৫) ও যুবলীগ কর্মী হিমেল রহমানকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাঁরা থানায় ছিলেন। পরে আটক নেত-কর্মীরা গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান।