নাটোর নিউজ বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়কের সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি।অতীতে সনাতনী পদ্ধতিতে সড়ক নির্মাণ হওয়ায় তা বেশি টেকসই হত না। তবে এবার সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির পেভার ও অ্যাসফল্ট মেশিন।পেভার ফিনিশিং সড়কের উপরিভাগে সমানভাবে ওভার লেয়িং করার ফলে সড়ক অত্যন্ত টেকসই ও মৃসণও হয়।
জানা যায়, বৃষ্টি এবং ভারবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য বনপাড়া-মৌখাড়া জিসি ৮ কিলোমিটার এবং কুমরুল জোয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রামাগাড়ি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের সড়ক দুটির অনেক জায়গায় উঠে যায় কার্পেটিং। বেশির ভাগ অংশে তৈরি হয় খানাখন্দ। আর এতে সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাতায়াতকারীদের।
অবশেষে এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) ।সড়ক দুটির সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান নাটোরের মীর হাবিবুল আলম।আর এই কাজ বাস্তবায়ন করেন মির্জা খোকনের এম এন ট্রেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সড়ক নির্মাণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা জানান, এর মাধ্যমে সড়কে সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী কার্পেটিং করা যায়। দিনে দেড় কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করা যায়।এর ফলে কাজের গতি বাড়ে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রোকৌশল দপ্তরের সার্ভেয়ার আরিফুজ্জামান এবং কার্য-সহকারী মোঃ ফজলুল হক জানান,বনপাড়া – মৌখাড়া এবং কুমরুল- রামাগাড়ি জিসির রক্ষণাবেক্ষণের কাজের গুনগত মান শতভাগ নিশ্চিত করে সম্পন্ন হচ্ছে।
এই সংস্কার কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার মির্জা খোকন বলেন- বনপাড়া-মৌখাড়া এবং কুমরুল থেকে রামাগাড়ি জিসির সংস্কার কাজে ম্যানুয়ালী কার্পেটিং করার কথা থাকলেও পেভার মেশিন দিয়ে আমাদের জোর করে করানো হচ্ছে যার কারনে আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।পেভার মেশিন দিয়ে কাজ করার উপযুক্ত একটা দর নির্ধারন করে দিলে আমাদের উপকার হয়।
তবে সড়কের নির্মাণ কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় সন্তুষ্টি জানিয়েছে স্থানীয়রা। আগে সড়কে খানাখন্দ থাকলেও এখন তা নেই-কমেছে ভোগান্তি।
উল্লেখ্য নাটোরে গতবছর থেকে পেভার মেশিনের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।এ পর্যন্ত নাটোরে প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা এই মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি)এর নির্বাহী প্রোকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান- ৩কোটি ৫৬লাখ টাকা ব্যায়ে বনপাড়া-মৌখাড়া এবং কুমরুল-রামাগাড়ি জিসির সংস্কার কাজ করার জন্য পেভার মেশিন ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারদের আমরা মোটিভেট করেছি।তারা সে কাজটিই করেছে।অত্যাধুনিক পেভার মেশিনে খরচ একটু বেশি হলেও স্বল্প সময়ে দ্রুত কাজ করা যায় এবং বিটুমিন,টেম্পার কন্ট্রোলের মাধ্যমে কাজের গুনগত মানও ভালো থাকে।সনাতন পদ্ধতি থেকে আমার ধীরে ধীরে আধুনিক পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির দিকে আগাচ্ছি।