নাটোর নিউজ সিংড়া : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হতো না। নাটোরের সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও নাটোর জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় উপজেলা হলরুমে শারদীয় দুর্গা পুজা মন্ডবে ডিও বিতরণ, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি আধুনিক এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর ও
প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
পলক আরও বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে ভারতের অবদান অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, আহার দিয়েছে। অস্ত্র, বস্ত্র দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে ভারত সরকার ও জনগণ। সেই ভারতকে নিয়েই এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সেই ১৯৭১ সাল থেকে আজকের ২০২১ সাল পর্যন্ত এখনও ভারত সরকার আমাদের পাশে থেকে বন্ধুর মত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। মহামারি করোনাকালীন সময়েও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠানের সন্মানিত অতিথি ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা পূজা উদযাপন
পরিষদের সভাপতি উমা চৌধুরী জলি, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, নাটোর জেলা হিন্দু ,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০১টি পুজা মন্ডবে ডিও বিতরণ, প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহারসহ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি আধুনিক এ্যাম্বুলেন্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুকুলে হস্তান্তর করেন ভারতীয় হাই কমিশনার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান, নাটোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খপেন্দ্রনাথ রায়, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার, উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দিরের উপদেষ্ঠা শ্রী বিশ্বনাথ কাশিনাথ দাস, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সিংড়া উপজেলা শাখার সভাপতি শীতল কুমার সরকার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল বিহারী দাসসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।