এদিকে বছরের প্রথম দিনেই বই হাতে পেয়ে মহা খুশী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তারা বলে, বাসার গিয়ে তারা এখন মজা করে নতুন বই পড়বে। মনোযোগ সহকারে এখন তারা লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান করোনা মহামারির কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার আখতার হোসেন বলেন,প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বছরের প্রথমদিনে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরে খুশী।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নতুন বছরের শুরুতেই সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া। বছরের প্রথম দিনেই তুলে দিতে আমরা যেমন খুশী তেমনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তিনি স্মৃতি চারন করে বলেন ,একসময় আমরা বই কখন পাব সেই অপেক্ষায় থেকেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বছরের প্রথম দিনেই তোমাদের বই তুলে দিচ্ছেন। সময়মত বই তুলে দিতে এখন কোন সমস্যা হয়না। তিনি সকল শিক্ষার্থীকে নিয়মিত এবং মন দিয়ে পড়াশুনা করার কথা বলেন। এখন তারা সারা বছর লেখা পড়ায় মনোনিবেশ করবে। একই সাথে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে চলাফেরা করার জন্য বলেন।

এবার জেলার ২লাখ ৬হাজার ৭৫০জন মাধ্যমিক, এবতেদায়ী,  দাখিল ও ভকেশনালের শিক্ষার্থীর মাঝে২৭লাখ ৮৭ হাজার ৬৮৮টি এবং সরকারী ও এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১লাখ ৯৯ হাজার ৫০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮লাখ ৭৩ হাজার ৪৪২টি বই বিতরণ করা হবে।