“শুধু ক্ষমতা উপভোগ নয়, মাথা খাটান নিজের অস্তিত্ব রক্ষায়” – আশরাফুল আলম খোকন
গল্পটার মধ্যে কিঞ্চিৎ অশ্লীলতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ চাইলে যে কেউই তুলতে পারেন। তবুও বর্তমান সময়ের সাথে প্রাসঙ্গিক বলে গল্পটা বলা। দেশে ছিলাম প্রায় ২০ দিন। ফিরলাম গতকাল। অনেক কিছুই দেখলাম ও বুঝার চেষ্টা করলাম। সরকার বিরোধীদের ভাবচক্কর হচ্ছে কে ক্ষমতায় আসলো সেটা মুখ্য না, তাদের কাছে এই সরকারের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তারা কিঞ্চিৎ চাঁঙ্গা। আর সরকার সমর্থকদের অধিকাংশের মধ্যেই কেমন একটা অস্থিরতা লক্ষ্য করলাম। চারদিকে যখন ষড়যন্ত্র থাকে তখন অস্থির না হয়ে সতর্ক হওয়াটা জরুরি। আরো জরুরি হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে আরো বেশি অস্থির করে তোলা। চাঁঙ্গা হতে না দেয়া।
ষড়যন্ত্র যখন থাকে তখন চারদিক থেকে সত্য মিথ্যা অনেক অভিযোগের তীরই আসে। এই তীরগুলো আসে পতন ঘটানোর জন্য না, আসে অস্থিরতা তৈরী করার জন্য। আর অস্থিরতা তৈরী করতে পারলে পতন ঘটানোর পথ সুগম হয়। তাই সব অভিযোগের প্রমান দেয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হতে হয় না। কারণ ষড়যন্ত্রকারীরা চায়ই আপনি অস্থির হন। তাহলে অনেক ভুল হবে আর তারা এর সুযোগ নিবে।
এখন গল্পটা বলি। গল্পটা একজন রাজনীতিবিদের কাছেই শোনা। এইখানে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।তাই বলছি…” মনে করেন আপনি একজন সুস্থ সবল পুরুষ মানুষ। রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। হঠাৎ শুনতে পেলেন কিছু দুষ্টচক্র রাস্তার পাশ থেকে আপনাকে হিজড়া হিজড়া বলে ডাকছে।তাদের কথা শোনা পর্যন্তই আপনার ক্ষান্ত থাকা উচিত। আপনি যদি তাদের কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরনের কাপড় খুলে পুরুষত্ব প্রমানের চেষ্টা করেন,তাহলেই কিন্তু তারা সফল। কারণ তারা আসলে জাতির সামনে আপনাকে উলঙ্গই করতে চায়। সুতরাং সাবধান…। উত্তেজনা বসতঃ তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয়া যাবেনা।
আবার যদি শুধু শুনে শুনে হিজড়া ডাক হজম করতে থাকেন তাহলে একদিন ঠিকই পুরো জাতি জানবে আপনি হিজড়া। সুতরাং ঐ দুষ্টচক্র এবং তাদের গড ফাদারদের কিভাবে ব্যতিব্যস্ত রাখবেন সেই বুদ্ধি আপনাকে মাথা খাটিয়েই বের করতে হবে। শুধু ক্ষমতা উপভোগ না করে, একটু মাথা খাটান নিজের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে।
