Homeগুরুত্বপূর্ণগুরুদাসপুরে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক

গুরুদাসপুরে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক

নাটোর নিউজ গুরুদাসপুর: নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বিয়ে না করায় প্রতারক প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করেছেন ওই কলেজ ছাত্রী। প্রতারক ইকবাল হোসেন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃ-গড়িলা গ্রামের সৈয়দ আলী মন্ডলের ছেলে। সে নাটোরের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে ও ভুক্তভোগি মেয়েটি স্থানীয় নাজিরপুর ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইকবাল হোসেন একজন মাদকাসক্ত। তার মা ফিরোজা বেগম ও বাবা সৈয়দ আলী মন্ডল ছেলেকে ভালো রাখার জন্য ওই মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার শর্তে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর জন্য তাদের খরচাপাতিও দিতেন। এ সুযোগে ইকবাল ওই মেয়ের সরলতার সুযোগে তার সাথে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় প্রধান মজিদ মন্ডল, আব্দুল গণি, মিজান প্রাং, জিয়া প্রাং সহ শতাধিক লোকজন মিলে তাদের বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এদিকে গত ১৩ মে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে বাসায় ফেরার পর ওই মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান প্রতারক ইকবাল। একপর্যায়ে ওই মেয়েটি বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন। কিন্তু মেয়েটিকে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে প্রেমিক ইকবালের পরিবারের লোকজন মেয়েটির সাথে অমানবিক আচরণ করে। তাই বাড়ির গেটের সামনেই অনশন করছেন নির্যাতিত ওই প্রেমিকা।
স্থানীয় প্রধানরা জানান, কয়েকবার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ছেলের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় রোববার সকাল ১১টায় ভুক্তভোগি মেয়েটি ইকবালের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।

ভুক্তভোগি মেয়েটি প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে অনশন করাকালীন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাবা একজন গরিব ও শারিরিক প্রতিবন্ধী। এ সুযোগে ইকবালের বাবা ও মা তাদের ছেলেকে ভালো করে দেওয়ার শর্তে আমার সাথে বিয়ের প্রতিশ্রæতি দেন এবং বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর জন্য খরচপাতিও দেন। ছেলে ইকবাল ভালো হলেও এখন আর কোনো কথা রাখছেন না তার পরিবার। ইকবাল আমার সাথে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্ক করেছে। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন ও নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments