হাসি ও কান্না
মুরাদুর রহমান
নানা ঘাত প্রতিঘাতে সময় জীর্ণ হলে
বিনা ওজরেও মন থেকে মনের দুরত্ব বাড়ে।
হয়তো আমাদেরও দুরত্ব বেড়েছে অনেক,
কৌলিক অহম আর স্বয়ম্ভু সামাজিক সম্ভ্রম রক্ষায়
কাটা পড়েছে আমাদের গন্তব্যের যৌথ যাত্রা।
তবু অনুভবে তোমার অস্তিত্ব সার্বক্ষণিক বিরাজমান বলে
চলমান শ্বাস প্রশ্বাস একক ধ্যানে তোমারই জিকির জপে।
প্রবল বিশ্বাসে সকল ইন্দ্রিয় কেন্দ্রীভূত হয়ে
তোমার আগমনী সাইরেনের অপেক্ষায় থাকে।
আমার অবিক্ষিপ্ত অবসরে,
স্মৃতির ডালে সুখের পাখিরা আপন খেয়ালে সুর তুললে
আমি সেই স্বরের মূর্ছনায় আপ্লুত হই।
বোধের বিরান আঙ্গিনায় বিগত অতীত ঘুঙুর পায়ে নেচে উঠলে
আমি তার সুখ মোহনে বিভোর হই।
এভাবে….
শান্ত নদীর বহতা জলের মত কলকল ধ্বনিতে মুখরিত হয়
অস্তিমান দেয়াল পঞ্জিকা।
অতঃপর,
পঞ্জিকায় আজকের তারিখে চোখ পাতি, স্পষ্ট করে দেখি,
ধীরে ধীরে তোমার অনুপস্থিতির সংবাদ সমস্ত চেতনায় চাউর হয়।
সময় যন্ত্রের অবিশ্রান্ত অধিক্ষেপে সম্বিত ফিরে এলে,
বহুমাত্রিক জিজ্ঞাসায় চোখের কোণ আর্দ্র হয়।
এক সময় কপোল গড়িয়ে খতিয়ানে যুক্ত হয় আরও কিছু নীল জল।
প্রিয় উপাগত কালবেলা….
গন্তব্য অনিশ্চিত জেনেও
এ যাত্রায় আমি এক আনন্দমুখর যাত্রী,
তোমাকে ভালোবাসতে পারার আনন্দে
হাসি কান্না দুইই সমান উপভোগ করি।