Homeজেলাজুড়েগুরুদাসপুরগুরুদাসপুরে হত্যাচেষ্টা মামলা তুলে নিতে প্রতিপক্ষের হুমকি

গুরুদাসপুরে হত্যাচেষ্টা মামলা তুলে নিতে প্রতিপক্ষের হুমকি

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার (১৫ মে) সন্ধায় সালিশে ডেকে চারজনকে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি জামিরুল ইসলাম।

এঘটনায় গুরুতর আহত আতাউর গণিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত ৮ জনের মধ্যে প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানসহ চারজন জেল হাজতে আছেন। তবে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ মামলাটি তুলে নিতে হুমকি অব্যহত রেখেছেন। একারণে ভুক্তভোগি জামিরুলরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন। জামিরুল ও প্রতিপক্ষ সাজেদুর রহমানদের বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাকড়া-সোনাবাজু গ্রামে।

মামলার বাদি জামিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার আত্মীয় আতাউরের ১৪০ শতাংশের একটি পুকুর সাজেদুরকে লিজ দেওয়া ছিল। কিন্তু লিজের টাকা সময় মতো পরিশোধ না করে পুকুরটি জবর দখলে রেখেছিলেন সাজেদুর। পুকুরটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে শনিবার সন্ধায় সোনাবাজু বাজারে ডেকে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান সাজেদুরের লোকজন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, পাউবোর সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমানের ছেলে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মামলাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এখন অভিযুক্তের লোকজন মামলাটি তুলে নিতে প্রাণনাশের ভয়ভিতি দেখাচ্ছেন। তাছাড়া সাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল, ঘুষ-দূর্ণীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গুরুদাসপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা।
সম্মেলনে চিকিৎসাধীন আতাউর গণির স্ত্রী সবর্ণা খাতুন বলেন, গুরুতর আহত স্বামীকে শনিবার মধ্যে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

কিন্তু প্রভাবশালী সাজেদুরের জামিনের জন্য ১৬ মে কৌশলে তাদের অগচরে আতাউরকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছিলেন সাজেদুরের ছেলে আসিফ রায়হান।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া ভুক্তভোগিদের সবোর্চ্চ আইনি সেবা দেওয়া হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments