Homeবিবিধসুলতানা কামালের উপস্থিতিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সভায় খন্ডিত জাতীয় সংগীত, ক্ষোভ

সুলতানা কামালের উপস্থিতিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সভায় খন্ডিত জাতীয় সংগীত, ক্ষোভ

নাটোরে সুলতানা কামালের উপস্থিতিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সভায় জাতীয় সংগীত খন্ডিত গাওয়ায় ক্ষোভ

নাটোর নিউজ: নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, জেলা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছ। গতকাল বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় নিডা সোসাইটি এবং জেলা মানবাধিকার ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ওই সভার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই সভার শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাত্র চার লাইন পরিবেশন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। কিন্তু জাতীয় সংগীত খন্ডিতভাবে গাওয়া আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে অমর্যাদাকর ও আইনগত ভাবে অবৈধ উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিকর্মীসহ অন্যান্যরা।

সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, শুধু এই অনুষ্ঠানে নয় বিভিন্ন স্থানে এখন সভা সমাবেশকে তাড়াতাড়ি শেষ করবার জন্য শুরুতে জাতীয় সংগীত অল্প একটু গাওয়া হচ্ছে। যা আমাদের জন্য অমর্যাদাকর। এর থেকে জাতীয় সংগীত না গাওয়াই উত্তম বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

এ বিষয়ে সাকাম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নান্টু জানান, এই বিব্রতকর পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলাম আমি। এবং এ বিষয়ে সবার মধ্য মনি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এই ঘটনায় তিনি নিজেও বিব্রত হয়েছেন উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এইধরনের ভুল যাতে আর না হয় তার উদাত্ত আহ্বান জানান।

সভায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, দেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও মানুষের নৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এসময়  তিনি বলেন, দেশের দৃশ্যমান উন্নয়নের বিপরীতে অবনতি হয়েছে মানুষের নৈতিকতার, সম্মানবোধ ও মানুষের প্রতি মানুষের প্রকৃত ভালোবাসায়। সংকুচিত হয়েছে প্রকৃত শিষ্টাচারসহ সব মানবিক গুণাবলী অর্জনের পথ। দায় এড়ানো বা নিজ অর্পিত দায়িত্ব পালন না করার সংস্কৃতির কারণে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। নিশ্চিত করা যাচ্ছে না মানুষের অধিকার, নিরাপত্তা, শান্তি। রোধ হচ্ছে না অপরাধ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুলতানা কামাল আরও বলেন, সম্প্রতি নাটোরে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। দেশে বেড়েছে ধর্ষণ। অহরহ ঘটছে মানবাধিকার লঙ্ঘন। বেড়েছে রাজনৈতিক-সামাজিক হামলা ও মামলা। ঊর্ধ্বমুখী প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। অনেক পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মানুষের নেই কোনও সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা। সঙ্গতি নেই মানুষের আয়ের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যর ব্যয়ের। এরমধ্যে, লুটেরা, অসৎ ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক অসাধু আর সুযোগ সন্ধানীদের টাকার পাহাড় হলেও বিপরীতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

এ অবস্থার কারণ হিসেবে তিনি রাষ্ট্র্র ও সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দায়িত্বরতদের দায়িত্ব পালন না করা আর দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতাকে দায়ি করেন তিনি। কিন্তু গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ দায় এড়ানোর কোনও সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান সকল সংকট থেকে উত্তোরণে প্রত্যেককে নিজ অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিকল্প নেই।

জেলা মানবাধিকার ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের আহবায়ক প্রভাতি বসাকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বিউটি, নাটোর প্রেসক্লাব সভাপতি ফারাজি আহমেদ রফিক বাবান, শিক্ষাবিদ অলোক মৈত্র, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খগেন্দ্র্রনাথ রায়, সমাজসেবক ও সনাক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments