একজন ফুটবলার এর মৃত্যু ও আমাদের ধিক্কার – মাহাবুব হোসেন
ছবির ছেলেটের কথা হয়তো অনেকের মনে আছে। আবার নাও থাকতে পারে। গত কয়েক দিন আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নাটোর জেলা দলের গোলরক্ষক শাফায়েত হোসেন। সে নাটোর উত্তর বড়গাছা এলাকার আল মামুনের ছেলে।
উদিয়মান এই তরুণ গোলরক্ষকের অকাল মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। অন্তত যারা শাফায়েত কে চিনে বা তার পরিবার সম্পর্কে জানে।
সাফায়েত নাটোর অনুর্ধ-১৬ স্কুল ফুটবল লীগ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ, বিকেএসপির ২০১৯ব্যাচের ছাত্র ছিল। এছাড়া সে নিয়মিত নাটোর জেলা দল এবং ফুটবল একেডেমি, নাটোরের হয়ে বিভিন্ন টুর্ণামেন্ট ও লীগে গোলরক্ষক হিসেবে খেলাধুলা করতেন।
মুল কথা হচ্ছে, সাফায়েত মৃত্যুর বেশ কয়েক দিন পার হল, অথচ নাটোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বে থাকা কোন কর্মকর্তাকে দেখলাম না একটা শোক প্রকাশ করতে। বা তাকে নিয়ে কোন কর্মসূচি গ্রহনে। তারমানে জেলার খেলাধুলায় শাফায়াতের কোন অবদান নেই?
আর কর্মসূচি হবেই বা কি করে, মুকুল ভাই থাকাকালিন সময়ে খেলোয়ার বা অন্যজেলার মানুষরা নাটোরের ক্রীড়াঙ্গণ নিয়ে অনেক গর্ব করতো। কিন্তু সে গর্বের জায়গা শেষ হয়ে গেছে। মুকুল ভাই চলে আসার পর স্টেডিয়াম মাঠ এখন খা খা করছে। নেই কোন খেলাধুলা। আগে যেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখতাম অনুশীলন করতে তাদের আর চোখেও পড়ে না। দু চারজন ক্রিকেটের ছেলেরা গেলেও তেমন অনুশীলন দেখিনা। মুল কথা হচ্ছে অযোগ্যদের চেয়ার দখল করালে এমনই তো হওয়ার কথা।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৩০ সদ্যস্যের কমিটির তার ১৩জনই পদত্যাগ করেছে। যার কারনে অচল প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে ডিএসএ। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এখন ক্রীড়াঙ্গন। ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিত ভাবে নাটোরের ক্রীড়াঙ্গণ ধ্বংস করা হল।
সাফায়েতরা আসবে, সাফায়েতরা চলে যাবে। কিন্তু অযোগ্যরা চেয়ার ছাড়বেনা। ধিক্কার এমন কর্তাদের।
বাঁচাও নাটোরের ক্রীড়াঙ্গান।
জেগো উঠো প্রকৃত খেলা প্রেমিরা।
লেখক- সংস্কৃতিকর্মী,সাংবাদিক ও সাধারণ সম্পাদক নাটোর ইউনাইটেড প্রেসক্লাব।