Homeজেলাজুড়েনাটোরের সাত ব্যক্তির অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাটোরের সাত ব্যক্তির অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাটোর নিউজ: নাটোরে আইকন ও এফএনএফ নামের ডেভোলোপার কোম্পানী বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার স্থানীয় এক রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ এনেছেন নাটোরের সাত ভুক্তভুগি।

সংবাদ সম্মেলনে গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ দানিউল ইসলাম, ডাঃ রওনক মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, আমান হাজী , জালাল উদ্দিন, হারুন অর রশীদ ও ফরিদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, তাদের উচ্চ লাভ্যাংশের লোভ দেখিয়ে শেয়ার ও ফ্ল্যাট কেনার প্রস্তাব দিয়ে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ডেভোলোপার কোম্পানী আইকন ও এফএনএফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল হুদা। তিনি বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন। ভুক্তভোগী এই সাত জন ছাড়াও নাজিরপুর ইউনিয়নের প্রায় আরো একডজন ভুক্তভুগি জানান, পাশর্^বতি বড়াইগ্রাম উপজেলার বামিহাল গ্রামের সামসুদ্দোহা হাজীর ছেলে প্রকৌশলী নূরুল হুদা তাদের এলাকার জামাই। নূরুল হুদা ঢাকার ডেভোলোপার কোম্পানী আইকন ও এফএনএফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে তার শাশুড়ি ও স্ত্রীর মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে এলাকার মানুষকে ডেভোলোপার কোম্পানী আইকন ও এফএনএফ গ্রুপে উচ্চ লাভে শেয়ার ও ফ্ল্যাট কেনার প্রস্তাব দেয়। এলাকার অনেক মানুষ সরল বিশ^াসে তাদের জমি জমাসহ নানা সম্পদ বিক্রি করে আইকন ও এফএনএফ গ্রুপে শেয়ার ও ফ্ল্যাট কেনার জন্য নগদ, ব্যাংকে ও চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করে। এদের মধ্যে নাজিরপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ দানিউল ইসলাম সাড়ে ১৩ লাখ, ডাঃ রওনক মাহমুদ ১২ লাখ, শহিদুল ইসলাম ১০ লাখ, আমান হাজী ও জালাল উদ্দিন তিন লাখ করে, ফরিদা খাতুন ও হারুন অর রশীদ আড়াই লাখ করে টাকা প্রদান করেন। সুনিদিষ্ট সময় শেষে লাভ বা ফ্ল্যাট কিছুই প্রদান করেনি নুরুল হুদা। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়াক্ষেপন করলেও এখন তাদের সাথে আর কোন ভাবেই যোগাযোগ করছেন না প্রকৌশলী নূরুল হুদা। তার অফিসে গিয়েও সাক্ষাত পাচ্ছেন না ভুক্তভুগিরা।

ক্ষতিগ্রস্থ দানিউল ইসলাম আমান হাজী ও ফরিদা খাতুন বলেন, ডেভোলোপার কোম্পানী আইকন ও এফএনএফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নূরুল হুদার কথা মতো বার বার ঢাকায় তার অফিসে গেলেও সে আমাদের সাথে দেখা করেনি, ফোনও ধরেন না। এভাবে তাদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকাতেই তিনি এমন প্রতারণা করছেন বলে তারা খবর পাচ্ছেন। প্রকৌশলী নূরুল হুদা এভাবে মানুষের টাকা আত্মসাত করে ঢাকা মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে নিজের নামে একটি সাততলা বাড়ি করেছেন এবং নাটোরের গ্রামের বাড়িতে ৪০ বিঘা জমিতে পুকুর কাটার পাশাপাশি চারটি পোলট্রি ও একটি গরুর খামার করেছেন। সাধারণ মানুষের নিকট থেকে রেভিনিউ স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করেছেন নুরুল হুদা।

এবিষয়ে জানতে শুক্রবার দিনের সিংহভাগ সময় বিভিন্ন মোবাইল থেকে আইকন ও এফএনএফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নূরুল হুদার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার মোবাইলে এসংক্রান্ত বিষয়ে একটি মেসেজ পাঠানো হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments