বিরহের বাঁশি বাজে অনুক্ষণ !!!
কাজী বদর উদ্দিন
এই সেই পায়েচলা মেঠোপথের স্মারক বাঁক
যেখানে আজও এ রূদ্র বোশেখে দাঁড়িয়ে
টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া-পুষ্পের অজস্র থোক
অবাধ্য অক্ষি-অতলে ভেসে ওঠে অবাক
সোনালী-পাড় লালশাড়ি,নন্দিত জীবন ছাড়িয়ে
কৃষ্ণ-কামনায় চলে গেলে মম মন মাড়িয়ে!
আমি আজ অনিবার্যতায় সেথায়ই দাঁড়িয়ে !!
কৃষ্ণচূড়া-রাধাচূড়া-যুগল স্মৃতিময় সানুদেশে
বসে আছে তরুণ-তরুণী আমার ভ্রম-দর্শনে
নাড়িয়ে হস্তদ্বয় মিষ্টি মধুর হেসে হেসে
রিনিঝিনি কন্ঠের যাদুতে মোহন বেশে
কথামৃত-ফুলঝুরি এখনও যেন বাজে শ্রবণে
বৃক্ষ-পাখি-তৃণ-লতা সবাই বিস্ময়ে শোনে
সেই কথামালা হাস্য-নিক্কন ঝড় তোলে মনে।
আগের মতো আকাশ নির্মলা-নীল অপরূপ
তার বিশালতায় গ্রহ-নক্ষত্রের মোহময়ী হাসি
তুলতুলে-জ্যোস্নার মখমল রূপোল স্নিগ্ধ রূপ
গুবাকসারির মাথার ওপর চন্দ্রিমা-মনি চুপ!
পক্ষী নীড়ে পক্ষীনীর ঠোঁটে ঠোঁট ক্লান্তিনাশী
সোহাগে ডেকে ওঠে প্রায়শঃ, কী– সুখরাশি!
সবই আগের মতো,শুধু হৃদে বাজে বিষ-বাঁশি !!