Homeঅর্থনীতিখামারের সব মুরগী মারা যাওয়ায় নিঃস্ব বড়াইগ্রামের আবু সাঈদ

খামারের সব মুরগী মারা যাওয়ায় নিঃস্ব বড়াইগ্রামের আবু সাঈদ

বড়াইগ্রাম, নাটোর নিউজ: নাটোরের বড়াইগ্রামে রাণীক্ষেত রোগে শেষ সম্বল ১৪’শ সোনালী মুরগী মারা যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন আবু সাঈদ। জীবনের শেষ সম্বল টুকু দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন একটি সোনালী মুরগির খামার। কিন্তু সর্বনাশা রোগে শেষ করে দিল সবকিছু। সবকিছু হারিয়ে দিশেহারােএখন আবু সাঈদ। তিনি উপজেলার জোয়াড়ী গ্রামে মৃত সামু ব্যাপারীর ছেলে থাকেন গুচ্ছ গ্রামে।

আবু সাঈদ জানান, জোয়াড়ী গ্রামের খাস জমিতে দীর্ঘদিন যাবত স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মান করার সময় দুই রুম বিশিষ্ট একটি ঘর ও পাঁচ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় তাকে। সেখানে গরে তুলেছিলেন মুরগির খামার। খামারে মুরগি প্রায় বিক্রির উপযোগি হয়েছিল। হঠাৎ করেই গত কয়েক দিনে সমস্ত মুরগি মারা যায়। ডাক্তার দেখিয়ে কোন লাভ হয়নি।

তিনি আরো জানান, এক হাজার ৫শত ৫০টি মুরগির বাচ্চা ১২ টাকা করে কিরে পালন শুরু করেন। পার্শবর্তী তিরাইল বাজারের ফিটের ডিলারের মাধ্যমে ওষুধ ও খাবার খাওয়ানো হতো। মাত্র ৪৫ দিন বয়সে মুরগি ৬’শ গ্রাম থেকে ৭’শ গ্রাম ওজন হয়েছিল। আর মাত্র ১৫দিন পরেই মুরগি বিক্রয় করা যেতো। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ করে মুরগি মারা যাওয়া শুরু করল। কোন কিছুতেই রক্ষা করা যায়নি। আমার প্রায় আড়াই রক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছ। ডিলারে দোকান বাঁকী কোথায় থেকে পরিশেধ করাবো ভেবে পাচ্ছি না। সোমবার খামারে গিয়ে দেখা যায়, মরা মুরগি মাটিতে পুতে ফেলার জন্য বস্তায় রাখা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুন্ডু বলেন, মারা যাওয়া মুরগি পোষ্ট মর্টেম করে দেখেছি রাণীক্ষেত রোগে মুরগি গুলো মারা গিয়াছে। খামার মালিক রাণীক্ষেতের টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ দেননি। যার কারনে টিকা কোন কাজ করেনি। তিনি আরো বলেন, খামারিরা ফিটের ডিলারের নিকট থেকে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কারনে আমাদের হাসপাতালে আসে না। যখন করার কিছুই থাকে না তখন আমাদের কাছে আসে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments