নাটোর নিউজ: দীর্ঘদিন পার্লিয়ে থাকার পর নাটোরে স্ত্রী বর্ণা বেগমের করা যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় কারারক্ষী গোলাম রাব্বানী (মহানগর রাজশাহী কারারক্ষী নং-৩২৩১৯)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে রাজশাহীর বেলপুকুর থানার দক্ষিণ জামিরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিবার রাজশাহীর একটি আদালতে গোলাম রাব্বানীকে হাজির করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশ চার্জশীট দেওয়ার পরে আদলত গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। দীর্ঘদির থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। পালিয়ে থাকায় কারারক্ষীর দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন। রাজশাহীর বেলপুকুর থানার দক্ষিণ জামিরা গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
মামলার নথিপত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নাটোর সদর উপজেলার মাহেষা গ্রামের মৃত আবু বক্করের মেয়ে বর্ণা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন গোলাম রাব্বানী। বিয়ের সময় নগদ ১ লক্ষ টাকা যৌতুক নেন তিনি। পরে বর্ণার পরিবারের কাছে পুনরায় ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এত টাকা দিতে না পারায় গোলাম রাব্বানী বিভিন্ন সময় বর্ণাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালায়। পরে নিরুপায় হয়ে এ বিষয়ে সুরাহা চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বর্ণা। ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর এই মামলাটির চার্জশীট প্রদান করে পুলিশ। চার্জশীট আমলে নিয়ে আদালত রাব্বানীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
কারাসূত্রে আরো জানা গেছে, সাবেক জেল সুপার বিষয়টি পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে নিরসনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত দীর্ঘদিন বাহিরে অবস্থান করার বিষয়টি নাটোর সদর থানায় অবহিত করেন জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহিম।
বর্ণা জানান, গোলাম রাব্বানী তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চায় না। ইতোমধ্যে ডাকযোগে তাকে তালাকনামা পাঠিয়েছে রাব্বানী। এর আগেও একটি বিয়ে করেছিল সে। কিন্তু তার সাথেও এমন আচরণ করায় ওই পক্ষের স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। আমি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই, সুরাহা চায়। আদালত যা রায় দেবে তাই মেনে নেব বলেও জানান তিনি।
জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহিম জানান, পারিবারিক জটিলতা ও মামলা নিরসনে গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তা সে মানেনি। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।